স্বস্তিবচন

 

সহজ লোকের মতো কে চলিতে পারে।

আরও অনেক জিনিস ঢাকা দিয়েই নাড়ে

 

কে থামিতে পারে এই আলোয় আঁধারে

জীবন অবশ্যি কোনো শাখা প্রশাখা বাইরে

 

সহজ লোকের মতো; তাদের মতন ভাষা ব্যাথা

পুরানো আত্মাকে ফয়েলে পুরে ফেলে কথা

 

কে বলিতে পারে আর; কোনো নিশ্চয়তা

চুঁইয়ে থেকে বেরুবে না কোনো রস, রক্তাল্পতা

 

কে জানিতে পারে আর? শরীরের স্বাদ

বীর্যপাতের পর আসে নিশ্চলতার ফাঁদ

 

কে বুঝিতে চায় আর? প্রাণের আহ্লাদ

চাকা শেষ চাকা নেই প্রাণের আঘাত

 

সকল লোকের মতো কে পাবে আবার।

সে লোক তো খোঁজা ভারী শান্তি আছে যার

 

ধার্মিক লোকের মতো বীজ বুনে আর

খেয়েদেয়ে মাঠে যায় রেললাইনের ধার

 

স্বাদ কই, ফসলের আকাঙ্ক্ষায় থেকে,

নবান্নের আগেই আসে বৃষ্টি গন্ধ মেখে

 

শরীরে মাটির গন্ধ রেখে,

ধরিত্রীর স্তন দেখেছি চেখে

 

শরীরে জলের গন্ধ মেখে,

প্রেমিকাকে গিয়েছি ফেলে রেখে

 

উৎসাহে আলোর দিকে চেয়ে

হৃদয়ের রস পঙ্গপালে যায় খেয়ে

 

চাষার মতন প্রাণ পেয়ে

অজ্ঞান মোহের দিকে ধেয়ে

 

কে আর রহিবে জেগে পৃথিবীর পরে?

নিশীথে, অন্ধকারে জলচর বুদ্ধিবৃত্তি মরে

 

স্বপ্ন নয়—শান্তি নয়! কোন্ এক বোধ কাজ করে

আমার কামনা শরীরে ধ্বংসের উৎসটি নড়ে

 

মাথার ভিতরে।

মরেছি চিরতরে

Comments