Posts

Showing posts from January, 2016

Slippery

The sculptor’s homeland abandoned— long before I was poured into this geography of pain. In the oily lattice of a womb where the umbilical flower is clipped like scrap metal, a flesh-chisel jerks awake— fatherhood delayed along the slippery corridor of uterine clay. Birth rings out: its cry fused with the sculptor’s hammer, a deep genital resonance— indistinguishable. Life swirls across slippery floors of space, renouncing nations, renouncing inheritance. I tried to walk the gentler avenue— the avenue of pleasure, but its soft exhibition never revealed itself. So I waited, like a penniless bird, beak sharp against emptiness. One day the passage of birth will close— and in hunger for another orbit I will carve new sorrow into the soft mud of earth. Here I remain, eyes pressed to the uterus, guarding the embryo of tomorrow— as though the sculptor’s hand still shapes me from the residue of his own disappearance.

মাতৃস্নেহ

  জীবন এমন অবাধ্য ভূমিকায় ধরা দিলো একদিন ছিল রৌদ্রের কোলে মাথা রেখে শুয়ে বলতাম মা ভাত দাও হঠাৎ উগরে আসা একটুকরো স্মৃতি নিয়ে বসতাম অবিবেচকের মতো জন্ম রহস্যকে গুলিয়ে ফেলতাম খিদের সঙ্গে মা বলতো সুপারি গাছে উঠে আমার পাগলী মাথায় চেপে বসবি তুই ঝুলে পড়া তীক্ষ্ণ স্তনের বোঁটা ধরে টানবি তুই দেখবি মার ঘরে কত অন্ধকার রাতে কোন ভুতুরে শব্দেরা আসে একদিন ঘাসের বুকে লুকিয়ে থেকে মিষ্টি পাতার গন্ধ খেতে খেতে নদীপথে ফেরা স্নানরত মেয়েদের দেখে হয়তো কখনো মনে হবে ওই তো মা , আমাকে দেখে এগিয়ে যায় জীবনের অজ্ঞতাকে চিনে নেওয়া মায়ের শরীর আর মন দিয়ে আঁচলের কোণ মুষ্টি বদ্ধ হাতে ধরে শক্তি সঞ্চয় করে নেওয়া নিশ্চিন্তে সমস্ত শরীরে সেই আঁচল জড়িয়ে জীর্ণতার মাঝে জীবন আসে বাঁচতে হঠাৎ হঠাৎ মনে হয় হামা দিয়ে কোলে উঠে পূর্ণাঙ্গ যুবকটি পৃথিবীর কাজে এগিয়ে চলার আগে পায়ে কাটা ফুটে ওঠার মুহূর্তে অস্ফুটে ডাকে মাগো!

অগ্নিপরীক্ষা

  নারী ছিল এক কোমল বরফ ঢাকা মসৃণতা হিমালয়ের চূড়ার মতন নির্জন পিছল বুকের উপর বুক পেতে পিছলে যাওয়া যেত জাহান্নম অবধি নারীর বুকের তিলেতিলে তিল চুম্বন করে দেহের অতলে ফেলে অসঙ্গত জীবনযাপনের খাদের ভেতর ঝুকে পড়া দুরন্ত গতিতে শরীরের তলায় চাপা ফেলে গনগনে উনুনের জ্বলন্ত অগ্নিশিখায় বরফের মতো দ্রুত গলে যায় হৃদয় অগ্নিপরীক্ষার জন্য ওর সাথে আমাকে নির্বাচিত করো

দেহহীন

    লোপিতাকে বললাম , তোমার দেহটা একঘেয়ে হয়ে গেছে। এতদিন দাও দাও করে আমাকে যে কতটা ঠকালে তা ভেবে দেখলে না। আজকাল তোমার মনে হয় , ঝুলন্ত স্তনগুলি খুবই আকর্ষণীয় অবিবাহিত পুরুষের কাছে। যে তোমাকে দীর্ঘকাল ভোগ করে গেছে তার কাছে একে গুরুত্ব দেওয়াটা ইচ্ছার বশ। দেয়া নেয়ার সম্পর্কটা আজ আর অতটা প্রয়োজনীয় নয়। যৌন মিলনের সময় আজ তাই বড় ফাঁকা ফাঁকা লাগে। এত ঘর্ষণ তবু উত্তাপ ওঠে না এতটুকু এর জন্য বড় লজ্জিত হয়ে পড়ি মরমে মরমে তোমার ভরাট শরীর আজ হিমবাহের চুড়োর মতন শান্ত শীতল।   তোমার ভারী স্তনবৃন্ত দুটি দেখে , মনে হয় আমাদের সন্তানেরা পৃথিবীতে এসে কামনার স্বাদ পেয়েছিল প্রথম জীবনে আমি ক্লান্ত হয়ে যাই , এ জগতে দাতা আর গ্রহীতার বাইরে আর কিছু খুঁজে যে ন পাই। অন্য কোনো পথ যদি ছিল এই দেহানুভূতি ছাড়া , এমন নির্জন ক্লান্তি করতো না তাড়া।   লোপিতা , কি দিয়েছিলে তুমি হৃদয়ের কানা গুলি পূর্ণ করে দিতে যে পারে , দেওয়ার ক্ষমতা আছে যার সেই পারে তার মুখে মানিয়ে যায় এই কথা , - তুমি আর ভালোবাসোনা আমায় ? যাকে মাথা তুলে দাঁড়াবার অনুমতিটুকু দাওনি কখনো ভাসতে চেয়েছে ...

বন্দি

  সারাদিন নেই নেই ভাবটা মনে বসে থাকে প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে নাই মনের এক সমান্তরাল জ্বালা খিদের মতো তাড়নার খাই   জানালার পাল্লায় এসে ভোরের একটুকরো রোদ্দুর লাগে অনেক গুলো বাড়ির ছাদের কানা দিয়ে জায়গা করে নেয় ঘন্টা খানেক আলো দেয় বাতাসেরাও আসে সেই পথ দিয়ে ধাক্কা খেতে খেতে আকাশ আর ঘাস এ অঞ্চলে নেই   অবাক এক শান্তির কারনে বুকে ব্যাথা হয় যা কিছু নেই , যা ছিল না কোনোদিন তার জন্য লাগে ভয়   এখানে কাটিয়ে যাওয়া শুধু খিদে নিয়ে পেটে সত্ত্বার গুটিয়ে যাওয়া মধ্যবিত্তের বেশে   দেহ জুড়ে এই খিদে মনের বিকাশের অন্তরায় হয়ে হাহাকার রয়ে যায় আজীবন কাল আকাশে মেঘেরা ধায় বিদ্যুৎ চমকায় অতৃপ্ত হৃদয়ের খেই চারিদিকে চেয়ে দেখি কেউ নেই কেউ নেই   আছে শুধু শেষ বিকেলের এক পাখি জানালায় বসে থাকে কিছুক্ষন তারপর উড়ে যায় আমি সংসারে থাকি